‘আপনি এত ভাল লেখেন কী করে?’
প্রশ্নটা হয়তো বা বোকার মতোন ছিল,
পাঁচটা পনেরোর রোমান্টিসিজম জমানো ক্যাফে
মৃদু হেসে ধরিয়েছিল সিগারেট,
রুক্ষ টিবি ধরা গলাটা
ধীরে ধীরে শুনিয়েছিল, সেইসব
আমঝুড়ি জংলার হাতি, খাল-মুহে নোনাজলে পবিত্র বিবির চর,
নৌকাছইয়ে যত কাঠবুটিয়া পাখিদের ভীড়,
তারপর অনেকটা আপ্তবাক্যের মতো
সান্দ্রস্বরে বলেছিল,
শৈশব
সেই থেকে আমি শৈশব খুঁজে ফিরি
শৈশব না গ্রাম,
গ্রাম না শৈশব
জঙ্গল ধরে ধরে গ্রামের ভিতর গ্রাম খুঁজে যাই,
শিকড়হীন ল্যাম্পপোস্ট থেকে কংসাবতী বাদুড়ীমাঠের ঘাসে
গিরিমাটি মোরগলড়াই দিন শেষে,
বহিরাগত চোখে দেখি সরপুঁটি মাছদের ভীড়
বানভাসি মৃত বৌ পরিবার সমেত শোনে রাতভোর টুসু গান
অথবা
দোরগোড়ার রোদে পুড়ে দেখি,
কুমোরের কর্দমাক্ত আঙুলে ঘোরাফেরা করে মৃত্তিকা বর্ণের ঢেউ
হঠাতই মাটির ঘোড়ার দলে ছুটে চলা কেউ
চাঁদবিলে পড়ন্ত বিকেলে হেঁকে বলে যা ভাগ্
আমিও যেন এরই অপেক্ষায় থাকি
প্রতিবার খোলস ছুঁড়ে নিঃশব্দে বদলে নিই
পাঁচটা পনেরোর রোমান্টিসিজম
ও রাগ ।।