Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Tuesday, 13 December 2011

সিন্ডারেলা


লাল সিমেন্টের উঠোন ছিল রসময়ীর
খোয়া খোয়া নদী নালা ওঠা,
শীতল জমিন,
মাটিতে থাবার দেহে
গুয়ের্নিকা টেক্সচার
প্রতিদিন,
হাঁটুভাঁজ কোলকুঁজো
উঠোনে পুড়ত কত
রৌদ্রবীজ, একপাটি রোদ
অসময়ে

এরপর ছাপাখানায় ওরা ছাপল রূপকথা
দুমলাটে, তিন রঙা
ছবি ছবি কথা,
কেউ দিল হাতি,
কেউ দিল ঘোড়া,
শুক-সারি জোড়া জোড়া
স্বাভাবিক ভাবে যৌতুক কিছু 
রক্তমাংসবোধ
রোয়াকে সারি সারি ছত্রাক,

লাল উঠোন ফিরিয়ে দিল
অন্যপাটি রোদ।

Thursday, 29 September 2011

কাপড়ে জানালা নেই

ইউরেকা আবিষ্কারের পর আর্কিমিডিস তো ভাবেননি তিনি নগ্ন।
ওদিকে ওরা প্রত্যেকে ইউরেকা হয়ে নগ্নতা ভেবে চলে।
উদাহরণ,
এদিকে তারকাখচিত রাত আর ওরা দূরে বসে কাঁপে’,
শুধু তাই নয়,
কাপড় চোপড় দিয়ে ঢাকে 
শরীর জুড়ে অসংখ্য উৎসুখ চোখ।
আর প্রতিবার আউড়ে নেয়
ঘুমচোখে, 
হে নিউটন,
পাপ ফের আপেল থেকেই শুরু হোক।

Monday, 12 September 2011

দায়িত্বশীলের প্রতি সুখটান


একবার হোপলেস হয়ে দেখতে পারিস,

এ কিন্তু দেশলাই হওয়া নয়,
একপিঠ আঁধার ঘাড়ে করে
জ্বলে ওঠার পর 
প্রাপ্য বলতে শুধু
জমাট অনাদর

বা,

পেনসিলবক্স হওয়াও নয়,
খোলা ও বন্ধের
সাদাকালো ঘর
জুড়ে, কখনও আঁচড় কাটে দাগ
বুকের ভিতর
আনকনশাস’,
বাংলায় অগোচর

এ শুধু,

পালক কুড়োনোর মরসুমে
মোম সমেত চুড়োর দিকে হাঁটা,
এগিয়ে, পিছিয়ে, চারিদিক জুড়ে
হয়তো হাসি পাবে তোর,

তবু

প্রতিটি গ্র্যাভিটি শূন্য লাফ দেওয়ার আগে
জেনে রাখিস,
পড়ন্ত হাওয়ার দেহে
একই সাথে ঝাঁপ দেয়
বিস্তীর্ণ ডানার ইকেরাস
ঈশ্বর

Tuesday, 6 September 2011

বদল


প্রতিবারই ফেরার সময় দেখি
কিছু না কিছু বদল,
ঝাউডিহি, চন্ডীপুর, ঝিটকিনি
আরো পরে, দুকিলোমিটার দূরে
লালমাটি চায়ের দোকানে
'বাস্টপে'র আদল,
আমাদের গ্রাম
ব্লক ২
নাড়াশোল।

নয়ানজুলি পেরিয়ে সরু আলপথ ধরে হাঁটি
হেঁতু ধান রোয়া, ‘মন্মথকা’র ক্ষেতে
কাস্তে হাতুড়ি গুনি, যেখানে চষছে মাটি মুনিষ সবুজ
বাঁশঝুরি মাঠ শেষে মাটিঘর খড়চাল ঘর ছাওয়া চুড়ো গম্বুজ
নিভৃতে দেখে ফেলি এবারে টিনের চাল
এবারে ব্লাউজ।

চি অ অ অ সুরে কোনো পাখি ডাকে
চারপাই খাটিয়া সমেত
সন্ধ্যার hyaহ্যারিকেনে,
উজ্জ্বল
সোমত্ত যুবতী গড়ে শীতলামঙ্গল,
সেসবে অভ্যস্ত
লালঝুঁটি মোরগের অ্যালার্ম ভুলে
মহাদেব, সেজকাকি, শ্রীনিবাস দুলে
খুঁজে বেড়ায়
হ্যান্ডবিল নির্দেশিত কিছু  হাড়
রাত্রির খুরে, সেই হেতু দশদিক জুড়ে
আমি দেখি ওপিঠের চাঁদছোঁয়া
একপেশে অন্ধকার

প্রতিবারই ফেরার সময় দেখি
কিছু না কিছু বদল,
অথবা আমিই হয়তো বদলে যাই প্রতিবার।

Sunday, 4 September 2011

অপাঙক্তেয়

‘আপনি এত ভাল লেখেন কী করে?’

প্রশ্নটা হয়তো বা বোকার মতোন ছিল,

পাঁচটা পনেরোর রোমান্টিসিজম জমানো ক্যাফে
মৃদু হেসে ধরিয়েছিল সিগারেট,
রুক্ষ টিবি ধরা গলাটা
ধীরে ধীরে শুনিয়েছিল, সেইসব
আমঝুড়ি জংলার হাতি, খাল-মুহে নোনাজলে পবিত্র বিবির চর,
নৌকাছইয়ে যত কাঠবুটিয়া পাখিদের ভীড়,
তারপর অনেকটা আপ্তবাক্যের মতো
সান্দ্রস্বরে বলেছিল,
শৈশব
সেই থেকে আমি শৈশব খুঁজে ফিরি
শৈশব না গ্রাম,
গ্রাম না শৈশব

জঙ্গল ধরে ধরে গ্রামের ভিতর গ্রাম খুঁজে যাই,
শিকড়হীন ল্যাম্পপোস্ট থেকে কংসাবতী বাদুড়ীমাঠের ঘাসে
গিরিমাটি মোরগলড়াই দিন শেষে,
বহিরাগত চোখে দেখি সরপুঁটি মাছদের ভীড়
বানভাসি মৃত বৌ পরিবার সমেত শোনে রাতভোর টুসু গান
অথবা
দোরগোড়ার রোদে পুড়ে দেখি,
কুমোরের কর্দমাক্ত আঙুলে ঘোরাফেরা করে মৃত্তিকা বর্ণের ঢেউ
হঠাতই মাটির ঘোড়ার দলে ছুটে চলা কেউ
চাঁদবিলে পড়ন্ত বিকেলে হেঁকে বলে যা ভাগ্‌

আমিও যেন এরই অপেক্ষায় থাকি
প্রতিবার খোলস ছুঁড়ে নিঃশব্দে বদলে নিই
পাঁচটা পনেরোর রোমান্টিসিজম
ও রাগ ।।

Monday, 28 March 2011

জীবন সরিয়ে রেখে

ঝড় জল হীন কোন গোলকের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাও তুমি,
নিঃশব্দে, পায়ে পায়ে, মাথা নীচু উদাসীন স্বর্ণপ্রতিমা।
আবরণ সরাতে সরাতে উলঙ্গ পিকাসোর মতো তোমায় দেখি,
নির্বোধ গাণিতিক কম্পোজিশন শেষে
শূন্যতা পড়ে থাকে।

পূতিগন্ধময় জিনের মাপা শৃঙ্খল বহন করে যখন ক্রমশঃ গাধা,
কিছু বিক্ষিপ্ত সস্তা অজুহাত যখন আঁচড় কামড় কাটে,
ম্যানিফোল্ড জুড়ে, পড়ে থাকে একান্ত অযাচিত, অগোছালো বোধ

ঝড় জল হীন কোন গোলকের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাও তুমি,
নিঃশব্দে, তাড়া করে, কবেকার ননডিটারমিনিস্টিক রোদ।