সারাদিন চুপ করে শুয়ে রইলাম। লিভার ট্রাবল। নানারকম রোল, বিরিয়ানী, রোস্ট, কাবাব
ইত্যাদির ফলশ্রুতি। গভীর অনুশোচনায় ভুগে দুপুরের ঝোলভাত অবশ্য সোনামুখ করে খেতে হয়েছে।
এরকম রোজ চলবে এখন। তা চলুক গে। সব ভালো জিনিসই একসময় শেষ হয়।
—‘বারবার বলেছিলুম
পলাটা পরতে, শুনলি না আমার কথা। পলা শরীর ভালো রাখে। শুনবি না তুই’
—‘...’
—‘পলাটা পরে নে না।
কতবার বলছি তোকে।’
—‘...’
শুয়ে শুয়ে আবিষ্কার করলুম কত পুরোনো চিন্তা এখনও শেষ করা হয়নি।
মেয়েকে একটা মোটরাইজড টেলিস্কোপ কিনে দেবো। ডিসপ্লে প্যানেল থাকবে। আজিমুথ এলিভেশন
কন্ট্রোল সিস্টেম সমেত। সাথে পেপার চার্ট। রাতের আকাশের নীহারিকা ধরা পড়বে মায়াবী
আলোয়। এম ৮১? না না এম ৮৬ বোধহয়। সুপারনোভা ইত্যাদি সেইসব আদ্যিকালের গপ্পো...
রোল কাবাব বিরিয়ানী ইত্যাদিদের ধন্যবাদ, শেকলে বাঁধা না পড়লে আরবিট চিন্তা করার
স্কোপটাই মিলত না। নো ফ্রী লাঞ্চ থিয়োরেম। সবসময় ফিট থাকাটা বড় অন্যায়। নয় কি?
—‘চান করে উঠে পলাটা
পড়ে নিস। আমি কি তোর ভাগ্য ফেরানোর জন্য বলছি? ওতে শরীর ঠিক থাকে। মায়ের এই কথাটা
তো শোন। আর কোন দিন কিছু বলব না তোকে।’
শুয়ে শুয়ে ঠিক করলুম মেয়েকে সহজপাঠের ছবিগুলো অন্যভাবে এঁকে দেবো। নিছক সাদাকালো
ভিত্তিক নয়। নন্দলাল রোল খাননি বোধহয় কোনোদিন।
সুতরাং অল শ্যুড বি ইন গ্রে শেডস।
আঁকতেই হবে।
পলাটা পরে ফেলার আগেই।
No comments:
Post a Comment